কেন্দ্রমুখী বল এর সূত্র

কেন্দ্রমুখী বল এর সূত্র, আসসালামু আলাইকুম আশা করছি সবাই খুবই ভালো আছেন। কেন্দ্রমুখী বল সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। এবং কেন্দ্রমুখী বলের সুত্র কি? এ বিষয়ে google অনেকেই সার্চ করছেন। বিশেষ করে যারা স্টুডেন্ট রয়েছেন তারা।

কেন্দ্রমুখী বল এর সূত্র

আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেলের মধ্যে কেন্দ্রমুখী বল সম্পর্কিত যত তথ্য রয়েছে পাঠ্য বইয়ের আলোকে সমস্ত তথ্য আলোচনা করা হবে। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ থাকলো।

কেন্দ্রমুখী বল এর সূত্র জানতে গেলে আমাদেরকে প্রথমে জানতে হবে কেন্দ্রমুখী বল কাকে বলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন্দ্রমুখী বল কাকে বলে!

কেন্দ্রমুখী বল কাকে বলে

যখন কোনো বস্তু বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে তখন যে বল সর্বনা বস্তুর উপরে ঐ বৃত্তের কেন্দ্র অভিমুখে ক্রিয়া করে বস্তুটিকে বৃত্তপথে গতিশীল রাখে, তাকে কেন্দ্রমুখী বল বলে।

কেন্দ্রবিমুখী বল কাকে বলে?

বৃত্তাকার পথে আবর্তনরত একটি বস্তু যে বল ঐ বৃত্তের কেন্দ্রের বিপরীত দিকে প্রয়োগ করে, তাকে কেন্দ্রবিমুখী বল বলে। এই বলকে কেন্দ্রাতিগ যা অপকেন্দ্রিক বলও বলে। কেন্দ্রবিমুখী বলের মান, কেন্দ্রমুখী বলের সমান. এবং বলদ্বয় পরস্পর বিপরীত দিকে ক্রিয়া করে।

কেন্দ্রমুখী বল এর সূত্র

 কেন্দ্রমুখী বল F = mω2

কেন্দ্রমুখী বল = ভর x কেন্দ্রমুখী ত্বরণ

বা, �=��2�

বস্তুটির কৌণিক বেগ ωহলো, v = ωr

:- F = mω2

কেন্দ্রমুখী বলের রাশিমালা প্রতিপাদন

 

r ব্যাসার্ধের একটি বৃত্তাকার পথে {\displaystyle v} স্পর্শকীয় দ্রুতিতে চলমান m ভরের একটি বস্তুর উপর প্রযুক্ত বলের মান:

��=���=��2�{\displaystyle F_{c}=ma_{c}={\frac {mv^{2}}{r}}}
��=���^=����^=��=�2�{\displaystyle a_{c}={\frac {v}{t}}{\hat {r}}={\frac {r\omega }{t}}{\hat {r}}=v\omega ={\frac {v^{2}}{r}}}

যেখানে ��{\displaystyle a_{c}} কেন্দ্রমুখী ত্বরণ । যে বৃত্তে বস্তুটি চলমান সেই বৃত্ত বা দোলক বৃত্তের (যে বৃত্তটি চলমান বস্তুর পথের সবচেয়ে উপযুক্ত, যদি পথটি বৃত্তাকার না হয়) কেন্দ্রের দিকে এই বলের দিক। সূত্রে গতি বর্গযুক্ত, সুতরাং দ্বিগুণ গতির জন্য চারগুণ বলের প্রয়োজন। ব্যাসার্ধের সাথে বিপরীত সম্পর্কটি থেকে দেখা যায় যে ব্যাসার্ধের অর্ধেক হলে দ্বিগুণ বলের প্রয়োজন। এই বলকে কখনও কখনও নিচের সূত্র দ্বারা বৃত্তের কেন্দ্র বিষয়ে স্পর্শিনী বেগ এর সাথে সম্পর্কিত বস্তুর কৌণিক বেগ ω হিসেবেও লেখা হয়,

�=��
{\displaystyle v=\omega r}

ফলে,

��=���2.{\displaystyle F_{c}=mr\omega ^{2}\,.}

বৃত্তের একক ঘুর্ণনের জন্য কক্ষপথের পর্যায়কাল T কে প্রকাশ করা হয়,

�=2��{\displaystyle \omega ={\frac {2\pi }{T}}\,}

এখন সমীকরণটি দাড়ায়,

��=��(2��)2{\displaystyle F_{c}=mr\left({\frac {2\pi }{T}}\right)^{2}}

কণার ত্বরণের ক্ষেত্রে বেগ খুব বেশি হতে পারে (শুণ্যস্থানে আলোর বেগের কাছাকাছি) তাই একই স্থির ভর এখন বেশি জড়তা (আপেক্ষিক ভর) সৃষ্টি করে যার ফলে একই কেন্দ্রমিখী ত্বরণের জন্য আরও বেশি বলের প্রয়োজন হয়, সুতরাং আপেক্ষিক সমীকরণটি দাড়ায়:

��=���2�{\displaystyle F_{c}={\frac {\gamma mv^{2}}{r}}}

যেখানে

�=11−�2�2{\displaystyle \gamma ={\frac {1}{\sqrt {1-{\frac {v^{2}}{c^{2}}}}}}}
{\displaystyle \gamma } লোরেন্টজ ফ্যাক্টর।

এভাবে কেন্দ্রমুখী বলকে লেখা যায়:

��=����{\displaystyle F_{c}=\gamma mv\omega }

যা আপেক্ষিক ভরবেগ পরিবর্তনের হার ���{\displaystyle \gamma mv}

Leave a Comment